হেল্প ডেস্ক

উত্তর: চাঁদাদাতা তার পেনশন আইডি দিয়ে www.upension.gov.bd -এর আইটি সিস্টেমে প্রবেশ করে যে কোন সময় সহজেই বছর শেষে মুনাফাসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন।
উত্তর: চাকরি পরিবর্তন করলে নতুন পেনশন নম্বর গ্রহণ করতে হবে না। শুধু জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
উত্তর: চাঁদা দাতার বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর তার ব্যাংক হিসাবে অথবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মাসিক পেনশন প্রদান করা হবে।
উত্তর: প্রয়োজনীয় কাজগপত্রের হার্ডকপি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। শুধু অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে মাসিক টাকা জমা দিলেই হবে।
গৃহিনীগন স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য প্রযোজ্য “সুরক্ষা” স্কিমে এবং বার্ষিক ৬০,০০০ টাকার কম আয়ের ক্ষেত্রে “সমতা” স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
উত্তর: এনআইডি তৈরীতে যৌক্তিকভাবে যে সময়ের প্রয়োজন হবে সেই সময়কালের মধ্যেই এনআইডি জমা দিতে হবে।
উত্তর: না। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় ব্যয় সরকার বহন করবে।
উত্তর: না। কোন ব্যক্তির কাছে চাঁদার টাকা নগদ জমা দেয়া যাবে না। ব্যাংক,ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।
উত্তর: সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে সরকারি, রাষ্ট্রায়ও এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
উত্তর: সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত উত্তরাধিকার সনদের ভিত্তিতে জমাকৃত টাকা মুনাফাসহ উত্তরাধীকার / উত্তরাধীকারগনকে প্রদান করা হবে।
উত্তর: “প্রবাস” স্কিমে যোগদান করে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রেরিত চাঁদার উপর সরকার ঘোষিত হারে প্রণোদনা পাওয়া যাবে। তবে, চাঁদা দাতাকে চাঁদার সম্পূর্ণ অংশ প্রেরণ করতে হবে। প্রণোদনার অর্থ অতিরিক্ত হিসেবে তার পেনশন হিসাবে জমা হবে।
উত্তর: চাঁদাদাতা পেনশন যোগ্য বয়সে উপনীত হবার পূর্বে চাঁদা প্রদানে অপারগ হলে এবং তিনি জীবিত থাকলে পেনশন যোগ্য বয়সে উপনীত হবার পর জমাকৃত টাকার উপর মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। পেনশন যোগ্য বয়সে উপনীত হবার পূর্বে মৃত্যুবরন করলে সেক্ষেত্রে নমিনী/নমিনীগন সমূদয় অর্থ এককালীন ফেরত পাবেন।
উত্তর: না, সম্পূর্ণ অর্থ একসাথে উত্তোলন করা যাবে না। আজীবন মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে।
উত্তর: না, চাঁদাদাতা জীবিত থাকা অবস্থায় লোন ব্যতীত এককালীন আংশিক বা সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলনের সুযোগ নেই।
উত্তর: সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহ (কার্ড/MFS) প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে, যা উক্ত সংস্থাসমূহ প্রাপ্য হয়। এ অর্থ পেনশন তহবিলে জমা হয় না। ফলে, সার্ভিস চার্জ প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
উত্তর: ব্যাংকে টাকা রাখলে আজীবন পেনশন প্রাপ্তির সুযোগ নেই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিলে চাঁদাদাতা আজীবন মাসিক পেনশন প্রাপ্ত হবেন।
উত্তর: পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীগণের জমাকৃত টাকা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে জমা হবে। বিনিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী জমাকৃত টাকা কম ঝুঁকিপূর্ণ লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হবে। বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা হারাহারি হারে পুরোটাই জমাকারীগণের ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
উত্তর: চারটি স্কিমের মধ্যে কেবল “সমতা” স্কিমে চাঁদাদাতার প্রদত্ত চাঁদার সমপরিমাণ টাকা সরকার প্রদান করবে। এছাড়াও পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় ব্যয় সরকার বহন করবে।
উত্তর: পেনশন ভোগরত অবস্থায় চাঁদাদাতার মৃত্যু হলে মৃত পেনশনার জীবিত থাকলে বয়স ৭৫ বছর হওয়া পর্যন্ত, তাঁর নমিনি/নমিনিগণ সমপরিমান মাসিক পেনশন পাবেন।
উত্তর: না। নগদায়ন বা Premature Encashment করা যাবে না। চাঁদাদাতা কেবল তাঁর জমাকৃত টাকার ৫০% কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন এবং ঋণ সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। কিস্তিতে পরিশোধিত টাকা চাঁদাদাতার পেনশন হিসাবেই জমা হবে।
উত্তর: না। প্রবাস থেকে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনো বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদান করতে হবে।
উত্তর: না। পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পূর্বে পেনশন স্কিম বাতিল করে জমাকৃত টাকাএককালীন উত্তোলন করা যাবে না।পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর জমাকৃত টাকার বিপরীতে আজীবন পেনশন পাওয়া যাবে।
উত্তর: নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা জমা করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ১ মাস পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া চাঁদা প্রদান করা যাবে। ১ মাস অতিবাহিত হলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১% হারে বিলম্ব ফি জমা প্রদান সাপেক্ষে হিসাবটি সচল রাখা যাবে। কোন চাঁদাদাতা পরপর ৩ কিস্তি চাঁদা জমাদানে ব্যর্থ হলে পেনশন হিসাবটি স্থগিত হবে এবং সমুদয় বকেয়া কিস্তি বিলম্ব ফিসহ জমা না করা পর্যন্ত হিসাবটি সচল হবে না।
হ্যাঁ, নিবন্ধন করতে পারবেন।
উত্তর: চাঁদাদাতাগণ মাসের নাম উল্লেখপূর্বক যে কোনো পরিমাণ চাঁদার টাকা অগ্রিম হিসাবে জমা করতে পারবেন। চাঁদাদাতা চাইলে মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে চাঁদা পরিশোধ করতে পারবেন।
উত্তর: চাঁদার টাকা জমা হলে চাঁদাদাতার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে তাকে এসএমএস এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা প্রদান করা না হলে বিলম্ব ফিসহ চাঁদা জমাদানের জন্য চাঁদাদাতার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজ পাঠানো হবে।
উত্তর: পরিবারের সবাই পেশা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রযোজ্য পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারবেন।
উত্তর: জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় পেনশন স্কিমে জমাকৃত অর্থের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি রয়েছে।
উত্তর: পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীর বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদান করা ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর মাধ্যমে মাসিক পেনশনের টাকা প্রদান করা হবে।
উত্তর: না, উক্ত চার্ট/টেবিলের তথ্য দিয়ে জমার বিপরীতে সম্ভাব্য পেনশন সম্পর্কে একটি ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বস্তুত চাঁদাদাতা পেনশন প্রাপ্তির জন্য পেনশন স্কিমে কতদিন চাঁদা দিবেন তা জন্মতারিখের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। যদি চাঁদাদাতার বয়স ৩২ বছর ৩ মাস হয়ে থাকে, আর তিনি যদি এই বয়সে পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করেন তাহলে তাকে ২৭ বছর ৯ মাস চাঁদা দিতে হবে এবং তিনি জমাকৃত টাকার পরিমাণ ও সময় অনুযায়ী পেনশন প্রাপ্য হবেন।
উত্তর: বড় অংকের স্কিম থেকে ছোট অংকের স্কিমে বা ছোট অংকের স্কিম থেকে বড় অংকের স্কিমে যাওয়া যাবে। বছরের যে কোনো সময় স্কিম বা প্যাকেজ পরিবর্তন করলে তার মোট জমা এবং জমার সময়ের উপর নির্ভর করে মাসিক পেনশন নির্ধারিত হবে।
উত্তর: পেনশনারের বয়স ৭৫ বছরের বেশি হয়ে গেলে নমিনির নাম কর্তন করে দেয়া হবে। নমিনি আর পেনশন প্রাপ্য হবেন না।
উত্তর: পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো উর্ধ্ব সীমা নেই। বিশেষ বিবেচনা ৬০ বছর বয়সেও যে কোন নাগরিক পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ৭০ বছর বয়স পূর্তির পর তিনি পেনশন প্রাপ্য হবেন। ৭০ বছর হওয়ার পূর্বে তিনি যদি মারা যান, তাহলে তার নমিনি মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ ফেরত পাবেন।
উত্তর: হ্যাঁ, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদার কর রেয়াত পাওয়া যাবে।
উত্তর: হ্যাঁ, মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত।
উত্তর: স্কিমের আওতাভুক্ত প্রত্যেক চাঁদাদাতার নামে একটি পৃথক পেনশন হিসাব থাকবে। যা তার কর্পাস হিসাব হবে এবং উক্ত কর্পাস হিসাবে চাঁদাদাতা কর্তৃক জমাকৃত চাঁদার অঙ্ক হিসাবায়ন করা হবে।
উত্তর: যারা সাময়িক ক্যাশ ট্রান্সফার (মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিএফ) প্রোগ্রামের সুবিধাভোগী তারা পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যারা লাইফ সাইকেল (life cycle) এপ্রোচের অধীনে আজীবন ভাতাভোগী (যেমন, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি), তারা এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে হলে তাদের বর্তমানে প্রাপ্ত সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।
উত্তর: সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের এই স্কিমে অংশগ্রহণ করার জন্য কোন বাধা নেই। তিনি বা তাঁর পক্ষে কেউ নিয়মিত জমা প্রদান করে হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন। কেউ একবার রেজিস্ট্রেশন করলে তার হিসেব সংরক্ষিত থাকবে।
উত্তর: না,“সমতা” স্কিমে রেজিস্ট্রেশন এর জন্য কোন ধরণের প্রত্যয়ন বা সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই। এটা চাঁদাদাতা নিজে ঘোষণা করবেন যে তার বার্ষিক আয় ৬০,০০০ টাকার নিচে। এ স্কিমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র (নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ) লাগবে।
উত্তর: হ্যাঁ, বর্তমানে সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক এর সকল শাখা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সম্মুখ অফিস হিসেবে কাজ করছে। যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক সেখানে গিয়ে পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং টাকা জমা প্রদান করতে পারবেন। তাছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
উত্তর: না, প্রগতি স্কিমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাদা করে চুক্তি করার প্রয়োজন নেই। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে আগ্রহী যে কেউ প্রগতি স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
উত্তর: ১৮ বছরের উর্ধ্ব বয়সি কোন সন্তান যিনি অদ্যাবধি স্বীকৃত কোন পেশায় নিয়োজিত নন তার পিতা/মাতা/অভিভাবক ইচ্ছা করলে তার সন্তানের নাম সুরক্ষা স্কিম চালু করতে পারবেন। পরবর্তীতে স্বীকৃত কোন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পর তিনি সংশ্লিষ্ট পেশার জন্য প্রযোজ্য স্কিমে যেতে পারেন।

+৮৮ ০৯৬১০ ৯০০৮০০

(বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা)